ঢাকা বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


গভীর রাতে টিএসসির কক্ষে পাওয়া গেল ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীকে


২৭ জুন ২০১৯ ০১:৩০

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) একটি কক্ষ থেকে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১টা ১০মিনিটে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।

আটককৃত দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী। এরা দুজনেই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে টিএসসির একটি সংগঠনের কক্ষ থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়েন এবং স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। অপরদিকে ছাত্রীটিও একই বর্ষের এবং রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে টিএসসি থেকে দুই ছাত্রছাত্রীকে উদ্ধার করেন। তাদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

প্রক্টর আরও বলেন, ‘সাধারণত রাত ১০টার পর টিএসসি কেন্দ্রিক সংগঠনগুলোর কক্ষ বন্ধ থাকে। কিন্তু কাল কেন ওই সংগঠনের কক্ষটি খোলা ছিল এবং তাতে দুজন ছাত্র-ছাত্রী কীভাবে ছিল, সেই ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

ঘটনাস্থলে থাকা শিক্ষার্থী ও প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য জানান, তারা রাত ১টার সময় ওই কক্ষের সামনে গিয়ে দরজা ও লাইট বন্ধ দেখতে পান। ১০ মিনিট দরজা ধাক্কানোর পর ভেতর থেকে দুজন দরজা খোলেন এবং তাঁরা বের হয়ে আসেন।

প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা আরও বলেন, পরিচয় জানতে চাইলে প্রথমে দুজনই ভুল নাম-পরিচয় দেন। ছেলেটি নিজের নাম শাহরিয়ার কবির আর মেয়েটি আতিকা বিনতে হোসেন বলে পরিচয় দেন। পরে তাঁদের আসল পরিচয় উদঘাটন করা যায়।

সম্প্রতি পুলিশের সিআইডি বিভাগ ঢাবির প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত যে ৮৭ শিক্ষার্থীর নামে অভিযোগপত্র দিয়েছে, তাতে ছাত্রীটির নামও রয়েছে বলে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা জানিয়েছেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালীন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টিএসসির সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম চালায়। এরপরে বিশেষ কোনো কর্মসূচি থাকলে অনুমতি সাপেক্ষে রাত ১১টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।

এমন অভিযোগের বিষয়ে শাহরিয়ার কবির (ছদ্মনাম) বলেন, তারা কক্ষের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন। কেননা ছাত্রীটি তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুর থেকে আসতে আসতে রাত সাড়ে ১১টা বেজে যায়। তাই হলে না গিয়ে তিনি এখানেই থাকেন।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, জরুরি কোনো কাজে, বাসা থেকে ফিরতে কোনো ছাত্রীর হলে ফিরতে দেরি হলে হল প্রভোস্ট/সংশ্লিষ্ট ব্লকের শিক্ষক অথবা প্রক্টরিয়াল বডির বিশেষ অনুমতিতে তিনি হলে প্রবেশ করতে পারেন।

দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে দুই শিক্ষার্থীর অবস্থানের বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আসিফ উল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি অল্প শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ঘটনার বিষয়ে টিএসসির পরিচালক মহিউজ্জামান বলেন, ‘সংগঠনগুলোর সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহার করার নিয়ম আছে। আমি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। রাতে যা ঘটেছে সে বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।

 

নতুনসময়/এমএন