ঢাকা বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


টাঙ্গাইলে পুলিশের চাকুরী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা লেনদেন, এসআই সহ আটক ২


২৩ জুন ২০১৯ ০৫:৩২

টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টবল পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা লেনদেনের সময় হাতেনাতে পুলিশের এসআই সহ দুইজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাত আটটার দিকে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ শনিবার ওই তিনজনের নামে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হচ্ছেন জামালপুর জেলা কোর্টের এসআই মোহাম্মদ আলী ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মো. খায়রুল বাশারের স্ত্রী শাহানাতুল আরেফিন সুমি (৩৫)। এসআই মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে।

শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, শেরপুর সদর থানার তারাগড় নামাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে মো. ওয়াজেদ আলীর ভাতিজা মো. কবির হোসেনকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুলিশ কনস্টবলে চাকুরীর জন্য এসআই মোহাম্মদ আলী ও সুমির স্বামী মো. খায়রুল বাশারের সাথে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সেই টাকা নিয়ে অভিযুক্তরা সহ তিনজন শুক্রবার জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গাড়িতে বসেই তারা টাকা লেনদেন করে। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে ওয়াজেদ আলীকে গাড়িতে রেখে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে সুমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা তার স্বামী কথিত সাংবাদিক মো. খায়রুল বাশারের কাছে দেয়। টাকা নিয়ে খায়রুল বাশার চলে যায়। বিষয়টি ওয়াজেদ আলী দেখে ফেলায় তার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে ওয়াজেদ আলী পুলিশ সুপারের নিকট সাক্ষাত করতে চাইলে সুমি তাকে বাঁধা দেয়। জানায়, ‘এসপি’র গেস্ট এসেছে তিনি এখন দেখা করতে পারবে না।’ এরপর সুমির সাথে ওয়াজেদের বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশদিয়ে ডিবি পুলিশের এসআই মো. ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েকজন যাওয়ার সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওয়াজেদ আলী বিস্তারিত বলেন। তখন তাদের আটক করে সুমির ব্যাগ থেকে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, সুমির স্বামীর নামে সাংবাদিক আইডি কার্ড ও তাদের ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে বাকি ৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকার স্বামী খায়রুল বাশারের নিকট আছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১ জুলাই টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ কনস্টবলে লোক নেওয়া হবে।