ভোলায় মোটর গ্যারেজ ও দোকানে আগুন

ভোলা শহরের উকিলপাড়া এইচ আর কমিউনিটি সেন্টারের পাশে থাকা মোটরসাইকেল গ্যারেজ ও ভাঙ্গারির দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালানোর পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার বিগ্রেড। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুটি দোকাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ শনিবার (২২ জুন) দুপুর ১ টার সময় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে।
আগুনের সূত্রপাতে পাশে থাকা ওয়ালটন শোরুম থেকে অগিনির্বাপক এনে আগুন নিভানোন চেষ্টা করেছেন স্থানীয় জনতা।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রায় একঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলেন আজ সকাল নয়টা থেকে এই এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
ভোলা মডেল থানার এস আই রাসেল আহমেদ নতুন সময়কে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার স্থান স্বাভাবিক রেখেছেন। এবং পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। এবং পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির এর ভূমিকা ছিল ব্যাপক। আগুন লাগা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে দায়িত্ব সাথে কাজ করে গেছেন মেয়র মহোদয়।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন ,সিফাত ট্রেডার্স এর মালিক সেলিম মিয়া, এবং মেঘনা অটো ওয়ার্কসব এর মালিক জাহাঙ্গীর মিয়া। এই অগ্নিকাণ্ডের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এতে ক্ষতির পরিমান ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মেঘনা অটো ওয়ার্কশপ এর মালিকের ছেলে শাহিন নতুন সময়কে বলেন, দুইটি নতুন মোটরসাইকেল ও ৪টি পুরাতন মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমাদের দোকানের ২০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভোলা সদর ফায়ার সার্ভিস উপ সহকারী পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন,নতুন সময় কে বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে এই এলাকার বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। আমরা ধারণা করছি সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।এতে একটি হোন্ডার গ্যারেজ ও ভাঙ্গারির দোকান পুড়ে গেছে। প্রায়ই ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে আশঙ্কা করা জাচ্ছে তদন্ত করে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।