ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মেসি-অ্যালভারেজ জাদুতে ফাইনালে আর্জেন্টিনা


১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩৪

২০১৪ সালের পর আবার ফাইনালে উঠল লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে মেসি-অ্যালভারেজ জাদুতে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল ২ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধেও আরও একবার দেখা মিল দুজনের জাদুকরী এক মুহূর্তের। তাতেই ক্রোয়েশিয়ার জালে তৃতীয় গোলটা জড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা।

সেমিফাইনালের শুরু থেকে আর্জেন্টিনাকে রীতিমতো দ্বিতীয় সেরা দলই বানিয়ে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া। মাঝমাঠে প্রেস রেজিস্ট্যান্ট লুকা মড্রিচ, মাতেও কোভাচিচদের সামনে খেই পাচ্ছিল না আর্জেন্টিনার ওয়ার্করেট নির্ভর মাঝমাঠ। আক্রমণও তেমন করতে পারছিল না শুরুর আধা ঘণ্টায়।

তবে পরিস্থিতিটা বদলায় মেসির এক গোলে। সেই গোলের সিংহভাগ কৃতিত্ব আবার অ্যালভারেজের। শুরুর ৩০ মিনিটে তেমন আক্রমণ করতে না পারা আর্জেন্টিনা দারুণ এক সুযোগ পায় ৩৫ মিনিটে।

মাঝমাঠ থেকে এনজো ফের্নান্দেজের বাড়ানো লংবল অরক্ষিত অবস্থায় পেয়ে যায় বক্সে আগুয়ান অ্যালভারেজকে। শেষমেশ তাকে ফাউল করেই থামাতে হয় ক্রোয়াট গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচকে। যে কারণে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি, আর্জেন্টিনা পায় পেনাল্টি।

মেসি পেনাল্টি থেকে দারুণ এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে দেন এগিয়ে। লিভাকোভিচ একই দিকে এগিয়েছিলেন বটে, কিন্তু মেসির শটের গতির কাছে তিনি পরাস্ত হন।

সেই গোলের পাঁচ মিনিট পর আবারও মেসি-অ্যালভারেজ জাদু। মেসি মাঝমাঠ থেকে বল বাড়িয়ে দেন অ্যালভারেজকে। সিটি ফরোয়ার্ড একাই বলটা টেনে নিয়ে ক্রোয়াট রক্ষণ ভেঙে করেন চমৎকার এক সোলো গোল। সেই দুই গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা যায় বিরতিতে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আর্জেন্টিনা খানিকটা রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলছিল। তবে প্রতি আক্রমণে ত্রাসও কম ছড়াচ্ছিল না। তেমনই এক আক্রমণের শেষে আর্জেন্টিনা পায় তৃতীয় গোলের দেখা। ক্রোয়াট বিপদসীমার ডান দিক থেকে ঢুকে তিন ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে অ্যালভারেজকে বলটা বাড়ান মেসি। প্রথম ছোঁয়াতেই তিনি বলটা জড়িয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার জালে। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে।

আইকে