ঢাকা সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


সাকিবদের আগলে রাখল বৃষ্টি


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫০

ঘন কালো মেঘে অনেকক্ষণ থেকেই ঢেকে ছিল আকাশ। খেলা চলছিল ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে। এক পর্যায়ে নেমে এলো বৃষ্টি। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন ক্রিকেটাররা। এক পর্যায়ে দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এতে কিছুটা লাভই হলো বাংলাদেশের। পরাজয়ের লজ্জাটা পেতে একটু দেরি হবে এই আরকি। ৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রান তুলতেই যে ৬ উইকেট হারিয়েছে সাকিব বাহিনী! ৪ উইকেট হাতে রেখে পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই ২৬২ রান। সাকিব ৩৯* আর সৌম্য ০* রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস সূচনা করেন লিটন দাস আর সাদমান ইসলাম। শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও ৩০ রানের জুটি জহির খানের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লিটন দাস (৯)। আগের বলেই তিনি রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়েছিলেন। চমক দিয়ে তিনে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১২ রান করে সেই জহির খানের বলেই আত্মঘাতী শটে আউট হন। মুশফিকুর রহিম আজ 'ডিপেন্ডেবল' হয়ে উঠতে পারেননি। রশিদ খানের বলে ২৩ রানে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি।

মুমিনুল হক 'টেস্ট স্পেশালিস্ট' খ্যাতি পেলেও রশিদ খানের ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে এলবিডাব্লিউ হন ৩ রান করে। সাদমানের সঙ্গে সাকিব যোগ দিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জুটিতে ২৪ রান আসতেই মোহাম্মদ নবির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান ১১৪ বলে ৪১ করা সাদমান। ১১ রানে রশিদের সৌজন্যে একবার জীবনও পান সাকিব। টানা ব্যর্থ হওয়া মাহমুদউল্লাহ ৭ রান করে রশিদ খানের শিকার হন। শর্টে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ইব্রাহিম জারদান। শেষে বৃষ্টিতে ৪:৪০ মিনিটেই দিনের খেলা শেষ হয়।

আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে পৌনে তিন ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। ১৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা আফগানিস্তানের শেষ দুই ব্যাটসম্যান ইয়ামিন আহমেদজাই (৯) এবং জহির খান (০) ফিরলে ২৬০ রানে অল-আউট হয় তারা। এর আগে আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে ২০৫ রানেই অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। তাছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে কখনোই রান তাড়া করে জিততে পারেনি।