ঢাকা সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


শবে কদরের ইবাদত করার নিয়ম


১৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৫০

‘লাইলাতুল কদর’ হচ্ছে পবিত্র রমজান মাসে রয়েছে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাত। যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতেই নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। এ কারণেই রাতটির মর্যাদা এত বেশি।

এ রাত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে। আর মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে তুমি কী জানো? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫)

শবে কদরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

অনর্থক কাজ পরিহার করে ইবাদতে মনোযোগ দেওয়া।

ইশার জামাতের আগে ভালো করে পবিত্র হওয়া।

বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা।

নফল নামাজ পড়া।

জিকির করা।

সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার (১০০ বার করে) পড়া। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২০০ বার) পড়া। আস্তাগফিরুল্লাহ (কমপক্ষে ৫০০ বার পড়া, যত বেশি সম্ভব হয়)। সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার) পড়া। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ'লা কুল্লি শাইয়্যিন কদির (কমপক্ষে ১০০ বার) পড়া।

বেশি বেশি দরুদ পড়া। সূরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়। সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করা।

দান-সদকা করা।

আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি এই দোয়া বেশি বেশি পড়া।

বেশি বেশি দোয়া ইউনুস পড়া।

তাহাজ্জুদ পড়া। এক্ষেত্রে রুকু ও সেজদাতে বেশি সময় ব্যয় করা।

দোয়া কবুলের জন্য আল্লাহর কাছে মুনাজাত। মুনাজাতে চোখের পানি ফেলা।

সাহরি খাওয়া ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়া।