ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে গ্রেফতার গ্রেটা থুনবার্গ, পরে জামিনে মুক্ত
যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন আলোচিত সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তাকে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্দোলনকারী সংগঠন প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন জানিয়েছে, 'আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দিদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি'—এমন লেখা সংবলিত একটি প্ল্যাকার্ড বহনের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ সরকার ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে। সিটি অব লন্ডন পুলিশ জানায়, গ্রেটাকে আগামী মার্চ পর্যন্ত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, ওই বিক্ষোভে একটি ভবনে লাল রং নিক্ষেপের অভিযোগে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে আসা ২২ বছর বয়সী এক নারীকে নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন জানিয়েছে, যেই ভবনটিকে লক্ষ্য করা হয়েছিল, সেটি একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ভবন। তাদের দাবি, ওই প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানি এলবিট সিস্টেমসের ব্রিটিশ শাখাকে সেবা দিয়ে থাকে। তবে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।
২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ ২০১৮ সালে সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে বৈশ্বিক জলবায়ু প্রভাব নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। গত বছর লন্ডনের এক বিক্ষোভে জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থেকে তিনি খালাস পান। আদালত রায়ে বলা হয়, ওই ঘটনায় তাকে ও অন্যদের গ্রেফতারের ক্ষমতা পুলিশের ছিল না।
এদিকে, গত অক্টোবরে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টায় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের একটি নৌবহরে যোগ দেওয়ার পর গ্রেটা থুনবার্গসহ ৪৭৮ জনকে আটক করে ইসরায়েল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
