রোববার চতুর্থ ধাপের উপজেলায় ভোট

চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতরের পর।
চতুর্থ ধাপে কমিশন ১২৭টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন করতে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। কিন্তু আইনি জটিলতা, অনিয়ম ও সহিংসতার কারণে ইতোমধ্যে ছয়টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হলো, কুমিল্লার বড়ুরা, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, ফেনীর ছাগলনাইয়া, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নোয়াখালীর কবিরহাট ও খুলনার ডুমুরিয়া।
চতুর্থ ধাপে ১৫ উপজেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলাগুলো হলো- ভোলা সদর, মনপুরা, চরফ্যাশন; যশোরের শার্শা; ময়মনসিংহের গফরগাঁও; ঢাকার সাভার, কেরানীগঞ্জ; কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, দেবীদ্বার, চৌদ্দগ্রাম; নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও ফেনীর পরশুরাম। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। এ ধাপে ২২ জেলার ৯ হাজার ৭৪০ কেন্দ্রে মোট দুই কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। আর নির্বাচনী এলাকায় অন্য যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে ৩০ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। এ ধাপেও কয়েকটি উপজেলায় ইভিএমে ভোট নেয়া হবে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও শুক্রবার থেকেই মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ভোটের সব প্রস্তুতি শেষ। কারো বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।