মাঠের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ঐক্যফ্রন্ট
-2019-02-06-18-40-46.jpg)
প্রতিবাদ নয়, এবার মাঠের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালোব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে এসব মন্তব্য করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
এসময় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও ভুক্তভোগী ভোটারদের অংশগ্রহণে ২৪ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে গণশুনানির আয়োজন করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আজকে ডাকাতি করে উৎসব চলছে। এই উৎসবে শকুনেরা বসেছে। সব প্রতিষ্ঠান দল ও ব্যক্তির অধীনে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র আজ ধ্বংস। সব লুট হয়ে গেছে। যে দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনিয়ম করে সে দেশের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ থাকে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ৩০ ডিসেম্নর ভোট ডাকাতির সব উলঙ্গ করা হবে। বাংলাদেশ আজ রাষ্ট্রে নেই প্রজাতন্ত্রও নেই।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে দাবি করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেমন কুকুর বিড়াল ভোট কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ কখনোই কারো অন্যায় মেনে নেয় নি। আবারো মানবে না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘নির্লজ্জ সরকার। বিশ্বের কোথাও এধরনের সরকার আর নেই। ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারকে ছাড়িয়ে গেছে। ৫ জানুয়ারি এক কান কাটা গেছিল। এবার তার পূর্ণতা পেয়েছে। তারা নোবেল পাক!! রোহিঙ্গা ডেকে আনলো কিন্তু তাদেরকে ফেরত পাঠানোর মরদ নেই। ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের লাঞ্চ বানিয়ে তার ওপর দাঁড়িয়ে নর্তন-কীর্তন করছে। তাদের মনে অনেক জ্বালা আর মুখে কাষ্ঠ হাসি। এদের আমলে বিচার বিভাগ, ভোটাধিকার সব কিছু অর্থহীন। মিথ্যা মামলায় নিপীড়তদের কাঁন্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে। ওই কাঁন্নায় সরকারের পতন হবে।’
গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের অবস্থা মর্মান্তিক। ৩০ ডিসেম্বর বিনা জানাজায় দেশের মানুষের ভোটাধিকারকে কবর দেয়া হয়েছে। এখন চলছে পুরস্কার প্রদানের উৎস। অপেক্ষা করেন সামনে দেখবেন প্রশাসন ও পুলিশের রঙ্গ-লীলা দেখার জন্য।’
আবদুস সালামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কাজী আবুল বাশার, আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হাবিবুল ইসলাম হাবীব, এম এ আউয়াল খান, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন আক্তার, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।
নতুনসময়/ইমরান