ঢাকা সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১


বেনাপোলে গাহি সাম্যের গান


৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৬

অসাম্পদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ‘গাহি সাম্যর গান’ এ শ্লোগানে সম্প্রীতি বাংলাদেশের পথচলার কথায় বেনাপোলে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার সময় বেনাপোল পৌর অডিটরিয়মে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সুধী সমাবেশে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ গড়ার আহবানে বেনাপোল এসে আমি মুগ্ধ। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র লিটনের মত একজন তরুণ নেতাকে মনোনায়ন দিয়ে বেনাপোলের যে উন্নয়ণ করেছে তা আমি বলে শেষ করতে পারব না। আজ এ নেতার আহবানে সকল ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর জন্য সকল ধর্মের বর্নের লোকের উপস্থিতিতিতে প্রমাণ করে তিনি এ এলাকায় কতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

মেয়র লিটন সরকারি অর্থ ছাড়া ও নিজের অর্থ ব্যায় করে বাংলাদেশের ৩২৭ টি পৌরসভার ভিতর বেনাপোল পৌরসভাকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নতি করেছে মাত্র ৫ বৎসরে। আজ আমাদের বাংলাদেশেকে বৃটিশ পাকিস্থানীরা শাসন করে বার বার ভাঙ্গার যে পায়তারা করেছে তা তাদের সফল হয়নি। তবে এখন ও দেশে শয়তান আছে তারা চায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র ধুলিস্যৎ হয়ে যাক। তাই আমরা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টন মুসলমান সকলে মিলে আগামি দিনের বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলে এক হয়ে কাজ করব। কোন ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ থাকবে না। কোন হিংসা বিদ্বেশ থাকবে না সেই লক্ষে সকলকে কাজ করতে হবে। এবং আগামি নির্বাচনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তি শালী করতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সভাপতি মেয়র লিটন বলেন, আজ বাংলাদেশে সম্প্রীতি বিরোধি একটি শক্তি সমাজে দাঁড়িযেছে। তারা নানা কৌশলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন ধর্মন্ধ; সামপ্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে সমাজের সর্বস্তরে আজ ঐক্য প্রয়োজন। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জালি দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সময় এসেছে আমাদের আবারো ১৯৫২ , ১৯৫৪, ১৯৬৯ আর একাত্তরের মত একতাবদ্ধ হয়ে হিংস্র শকুনদের দলকে রুখে দিতে হবে।

এ সময় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) এ কে এম মোহাম্মাদ আলী শিকদার , সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পিযুষ বন্দোপধ্যায়, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব, অপরাজয় বাংলাদেশ এর সভাপতি এইচ রহমান মিলু, বিশিষ্ট কবি অমিতাভ দাস,বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ দাস, রওশানারা আতাহার।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) এ কে এম মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এখন ও বৃটিশ পাকিস্থানী হায়েনাদের মত দেশে কুচক্রীরা রয়েছে। তারা চায় দেশের ভিতর বসবাসকারি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান মুসলমান সকলের মধ্যে হানাহানি মারামারি । তারা চায় না সকলে মিলে মিশে থাকুক। এই কুচক্রীদের কারনে ইতিপুর্বে অনেক হিন্দু অত্যাচার নির্যাতনে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরা চাই আর সংখ্যা লঘু কোন কথা নয়। আমরা সবাই বাঙ্গালী।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা আজ বেনাপোলে এসে মুগ্ধ হয়েছি। এখানের উপস্থিতী বলে এখানে সম্পীতির কোন ঘাটতি নেই। এখানে সকল ধর্মের লোকের উপস্থিতি হয়েছে চোখে পড়ার মত মা বোনেরা। আমরা সবাই একতা বদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। শুধু নাটক করে রং মেখে টিভির পর্দায় নয়। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে চাই। আর সে লক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। সকল ধর্ম বর্নের লোক ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিককে ভোট প্রদান করবে। কোন প্রকার ভয় ভিতীতে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না।

অপরাজয় বাংলাদেশ এর সভাপতি এইচ রহমান মিলু বলেন,বাঙালীর জাতীয়তার ইতিহাস চিরায়তা অসাম্পদায়িকতার এক অবিনাশী গল্প। আমাদের জাতীয় জীবনে যখনই ঘনিয়ে এসেছে অমানিশার কালো ছায়া তখন বিপন্ন করতে চেয়েছে আমাদের সম্প্রীতির সাজানো বাগান। আমরা তখন জেগে উঠেছি। আমরা প্রতিহত করেছি। সৃষ্টি করেছি নতুন ইতিহাস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন । প্রতিবারে বুকের রক্তে লিখেছি এক অনাগত ভুমির জন্য নতুন কবিতা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ।

এমএ