পুনরায় নির্বাচনের দাবি: ফখরুল
-2019-01-30-13-24-26.jpg)
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা নির্বাচনের সঙ্গে ফলাফলও প্রত্যাখ্যান করেছি। সে সময় আমরা বলেছিলাম, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। আজকে আমরা আবার তারই পুনরাবৃত্তি করছি।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসার প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে একটা সংসদের অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। এই সংসদ জনগণের প্রতিনিত্ব করে না। গত ৩০ ডিসেম্বর একটি ভোট ডাকাতির ভুয়া নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী সম্পূর্ণ ভোট ডাকাতির মধ্যে দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করে দখলদারি সংসদ ও দখলদারি সরকার বসিয়েছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনের পূর্বে থেকেই জনগণ যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। সেখানে জনগণ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের রায় দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দেশের জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে গণতন্ত্রকে ধংস করে দিয়ে এই রাষ্ট্রকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭৫ সালে তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধংস করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। ঠিক একই কায়দায় আজকে তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদলীয় দখলদারিত্বের সংসদ গঠন করেছে।
মানববন্ধন পরিচালনা করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশারফ হোসেন, প্রমুখ।
এই কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মানববন্ধন চারপাশ ঘিরে রাখেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বুধবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন শুরু হয়। ঠিক ১২টার সময় মির্জা ফখরুল তার বক্তৃতা মানববন্ধন শেষ হয়।
/আনু