ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার ছিল-প্রধানমন্ত্রী


৩ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:০৪

প্রধানমন্ত্রী হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মাশরাফি

আওয়ামী লীগ সভাপ‌তি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা ব‌লেছেন, গণতন্ত্রের জন্য একটা শক্তিশালী বিরোধী দল (অপজিশন) দরকার ছিল। শ‌ক্তিশালী বি‌রোধী দল থাকলে সরকা‌রের ভুলত্রু‌টি ধ‌রে দি‌তে পা‌র‌তো। আমরা এ জন্য চাচ্ছিলাম যে অপজিশনটা অন্তত ভালোভাবে হোক। কিন্তু বিএন‌পি যেভাবে নমিনেশন বিক্রি করলো তা‌তে তো অপজিশন হওয়ার সুযোগ কমই থাকে। তারা নি‌জেরাই নি‌জে‌দের প্রার্থীর বিরোধিতা করে‌ছে। এ সময় তিনি বিএন‌পি ও ঐক্যফ্র‌ন্টের সমা‌লোচনা ক‌রেন।

বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে স্কাউটস, ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখজনক যে- একটা অপজিশন তাদের আচার-আচরণটা ছিল খুব পিক্যুলিয়ার। তাদের আচরণ এমন মনে হচ্ছিল তারা যেভাবে নমিশন দিয়েছে তাতে বোঝাই যাচ্ছিল ইলেকশন না করার করার জন্যই মনোনয়ন দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সত্তর সালে ২০ দলীয় ঐক্যজোট ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এখনকার অনেকে জানেই না। কারণ তখন অনেকের জন্মই হয়নি। ওই সময় তারা মাত্র দুইটা সিট পেয়েছিল, বাকি সব সিট জাতির পিতা পেয়েছিলেন নৌকায়। উনি (বঙ্গবন্ধু) জানতেন এটা পাবে। গোটা পাকিস্তানে কিন্তু আওয়ামী লীগ মেজরিটি পেয়েছিল। যাই হোক আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তি‌নি যে স্বপ্ন নি‌য়ে দেশ স্বাধীন ক‌রে‌ছি‌লেন সে স্বপ্ন তি‌নি বাস্তবায়ন কর‌তে পা‌রে‌ননি। আমরা তার স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত দা‌রিদ্র্যমুক্ত বাংলা‌দেশ গড়‌বো।

সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহর রহমতে আমার মনে হয়েছে এবারের নির্বাচনটা সেই সত্তর সালের যে নির্বাচন বা ৭৩ সালের যে নির্বাচন ঠিক সেই রকমই হয়েছে।বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এবার মানুষের মধ্যে ভোট দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল। একজন বলছে ভোট দিয়েছে, বলে কাকে দিলা বলে নৌকায়। বলে প্রার্থী কে ছিল সে তো জানি না। আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি।

ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সমর্থন আমাদের ভোট পেতে সহযোগিতা করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছিলেন। একটাই লক্ষ্য আমার, আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই। আমি কিছুই চাই না। বাংলাদেশের মানুষের ঘর হবে, তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। তারা রোগে চিকিৎসা পাবে, তাদের খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, নিরাপত্তা পাবে এটাই চাওয়া। মানুষের এই যে সমর্থন, ভালোবাসা; এটাই তো আমার সম্পদ, বাপ-মা, ভাই-বোন হারিয়ে আর কিছুই তো আমার নেই। এইটুকু আমি পাচ্ছি, এটা তো সবচেয়ে বড় পাওয়া।