ঠুনকো কারণে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল

একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিন রোববার শত শত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী বলে দাবি করছে দলটি। দুর্নীতি বা নৈতিক স্খলন জনিত মামলায় দণ্ড থেকে শুরু করে অনাদায়ী ঋণসহ নানা কারণে এসব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপির দাবি, ঠুনকো কারণে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করেছে। খবর বিবিসি বাংলা'র।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করছে, নির্বাচন কমিশনের এই কাজ একেবারেই পক্ষপাতদুষ্ট, এবং এর বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় নির্বাচিত প্রতিনিধি- যেমন মেয়র বা চেয়ারম্যান- তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কত জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তা এখনো সংখ্যায় বলা যাচ্ছেনা তবে সংখ্যাটা অনেক। কিছু জায়গায় একেবারেই ‘ঠুনকো, কারণ দেখিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নিরপেক্ষ নয় এবং তফসিল ঘোষণার পর থেকে এটা প্রকট আকার ধারণ করেছে। `সরকারের অসমাপ্ত কাজ অর্থাৎ যেগুলো তফসিল ঘোষণার আগে শেষ করতে পারিনি সেগুলোই এই নির্বাচন কমিশন করছে'।
তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকার দোহারের উপজেলা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে দুদিন আগেই তিনি ঢাকার জেলা প্রশাসক অর্থ্যাৎ রিটার্নিং অফিসারের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। কিন্তু সেটা গ্রহণ করা হয় নি। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদ না ছাড়ার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
দিনাজপুরের মেয়র ও জয়পুরহাটের একজন উপজেলা চেয়ারম্যানও একই কথা তাদেরকে জানিয়েছেন। এসব জনপ্রতিনিধিরা জনপ্রিয়। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে কারণেই যাচাই বাছাই থেকে অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন। "প্রথমে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন এবং পরে প্রয়োজন আদালতে যাবেন। শুরু থেকেই আমরা বুঝতে পারছি নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশেই কাজ করছে। বিএনপিকে তারা একটা কঠিন পরিস্থিতিতে রাখতে চাইবেন। অনেক যোগ্য প্রার্থীকে বিনা কারণে বাদ দিতে চাইবে। এসব কারণেই এটা করা হয়েছে। এখন বিএনপি দেখবে আইনি লড়াইয়ে কী ফলাফল আসে।