আশায় আছেন এরশাদ!

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে এরইমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক প্রস্তুতিতে প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি তাদের দলীয় ও জোটগত প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। তবে এখনো ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার আশায় আছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টির সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে কি না সেটা পর্যবেক্ষণ করছেন এরশাদ। জাপা চেয়ারম্যান এখনো আশা করছেন হয়তো একাদশ নির্বাচনে বিএনপি না ও যেতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। সে অনুযায়ী প্রার্থীও প্রস্তুত করে রেখেছেন। দলকে আরেকবার ক্ষমতায় আনতে এরশাদ বিভিন্ন সময় নিত্য কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু তাতে কোন সুফল আসে না। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক না হয়ে জাতীয় পার্টিকে এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে তৃণমূল নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন। দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের পরামর্শ আমলে না নিলে দলের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতাও আছে বলে জাপার বেশ কিছু নেতা জানান।
দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা জানান, শেষ সময়ে এসে এখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষি চলছে। আসন নিয়ে সমঝোতা না হলে সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি এককভাবেও নির্বাচন করতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনে মোট ২ হাজার ৮৬৫টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় পার্টি। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ৭৮০ জনকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে দলটি। কারণ, মহাজোটের হয়ে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকে ৪০টি আসন জাপাকে ছেড়ে দিতে চায়। কিন্তু জাতীয় পার্টির দাবি ৭০টি। অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনে জানানো দাবি মেনে না নিলে বিএনপি যদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তাহলে দলটি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পাটি ৩০০ আসনে এককভাবে প্রার্থী দেয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রতিটি আসনে জাতীয় পার্টির একাধিক প্রার্থী আছেন। জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না। তাই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন দলের নেতাকর্মীরাও সেটা মেনে নেবে।
আরকেএইচ