নয়াপল্টনের ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ

বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনর (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অন্যান্য কমিশনারসহ ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, পর্যালোচনা করে ইসি দেখেছে, নয়াপল্টনে যে ঘটনা হয়েছে তা ফৌজদারি অপরাধ, যার ফলে এটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে আমরা বলেছি।
ইসি সচিব বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের আইজিপির কাছ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিরবণ চেয়ে একটি প্রতিবেদন তলব করেছিল কমিশন। গতকাল রোববার আইজিপি মহোদয় অডিও-ভিডিও, স্থিরচিত্রসহ আমাদের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই প্রতিবেদন আজকের কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, এই ঘটনার কারণে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয় সেজন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর আগামীতেও যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সে ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সহযোগিতা কামনা করেছে ইসি।
পুলিশের ওপর হামলা আর সেই হামলার তদন্ত তাদেরই ওপর কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত করার একমাত্র এখতিয়ার পুলিশের। তবে আমরা পুলিশকে বলেছি, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে।
নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার-ব্যানার সরিলে ফেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাঠপর্যায় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে দেশের ৯০ শতাংশ প্রচারণা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন যারা নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এমএ