ঢাকা রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২


তারেকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি


১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৬

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারে স্কাইপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তারেক রহমানের উপস্থিতির বিষয়ে কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

রোববার (১৮ নভেম্বর) বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান যুক্ত হওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। আর সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

বিষয়টি নিয়ে রফিকুল বলেন, ‘তথ্য প্রমাণ পেলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। কেউ যদি তথ্য-প্রমাণ দেয় তাহলে কমিশন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’

দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদ- এবং ২২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে তারেকের। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন কারাদ- পেয়েছেন। ১০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী বিএনপি নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। তিনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিলের উদ্যোগ উচ্চ আদালতে আটকে যাওয়ার পর তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপির নেতৃত্বে থাকার আইনি বৈধতা আছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে।

এই দুটি বড় প্রশ্নের মধ্যেও তিনি লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এটা করতে পারেন কি না- এই প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো কিছু মনিটরিং করার নিজস্ব ক্যাপাসিটি নাই। যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু করার থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব। আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে তাহলে আমরা নিজেরা কমিশন বসে আমরা কী করতে পারি-সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

তারেক রহমান দেশে থাকলে ভিডিও কনফারেন্স করতে পারতেন কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যদি কোনো দ-প্রাপ্ত আসামি হন তাহলে অবশ্যই তার জেলে বা পলাতক থাকার কথা। জেলে যদি থাকতেন, তাহলে উনি এটা করতে পারতেন না। যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এই ক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজ কতটুকু কী আছে- এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

সাত ধারা বাতিল করে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে আদালতের আদেশ কবে পালন হবে- এমন প্রশ্নও ছিল রফিকুলের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে রিটকারীকে একমাসের মধ্যে জানাতে আদালত থেকে বলা হয়েছে, আমরা এ ব্যাপারে আদালতের দির্দেশ মানব। আমরা আদালত অবমাননা করব না।’

এমএ