ঢাকা রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২


নির্বাচনের দৌঁড়ে ছিটকে পড়তে পারেন কাজী মনির!


১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১১

নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চল খ্যাত রূপগঞ্জ আসনটি দুটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের সম্বন্বয়ে গঠিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত। ব্যানারে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট।

পোস্টারে পোস্টারে রঙিন হয়ে আছে বাসাবাড়ির দেয়ালসহ অলি গলি। বেড়ে গেছে চায়ের দোকানের আড্ডা। বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহনের ব্যাপার এখন নিশ্চিত। এবারে রূপগঞ্জের এ আসনটিতে বিএনপির তিন হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছে।

এ যুদ্ধে শেষপর্যন্ত কে টিকে থাকে সেটা সময়ই বলে দেবে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি সমানভাবেই আধিপত্য বিস্তার করে চলছে। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪টি নির্বাচনে ২ বার জয় পান বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী আব্দুলমতিন চৌধুরী।

১৯৯৬ ও ২০০৮ সাল আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগের মেজর জেনারলে কে এম সফিউল্লাহ ও গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক। একই সাথে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলেই থেকে যায়। তবে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে বিএনপি।
সে লক্ষ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির তিন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু।

বিএনপির এ তিন হেভিওয়েট নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন। কিন্তু সরকারি দলের চাপে ও মামলার গেঁড়া কলে পড়ে নির্বাচনী রেস থেকে দুরে সরে যাচ্ছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান। সংসদীয় এলাকায় তার প্রচার প্রচারণায় ভাটা পড়েছিল। একই সাথে তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়েছিলেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাজী মনিরের উপর থেকে আস্তা উঠে যাচ্ছিল। তবে নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে সরকারি দলের চাপ কিছুটা কমে যাওয়ায় ফের সরব হয়ে উঠেছে সংসদীয় এলাকায়। একই সাথে মনোনয়নের লড়াইয়েও অবতীর্ণ হয়েছেন।

অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রিয়মুখ ও গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। এছাড়াও আরেকজন রয়েছেন তরুণ ব্যবসায়ী, ভুইয়া পরিবারের সন্তান মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু। এ দু’নেতা যেদিকে যান সেদিকেই নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

সংসদীয় এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাদের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে ছিটকে পড়তে পারেন কাজী মনিরুজ্জামান এমনটাই ধারণা রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানাযায়, এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার রূপগঞ্জের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ আপন জনগণের কাছে মজলুম জননেতা হিসেবে পরিচিত।

আইনজীবি হিসেবে নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সব সময়ই পাশে থেকেছেন। অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুর ওজন জনগণের নিকট গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।

এমএ