কাঠগড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে চাইলেন খালেদা জিয়া

নাইকো দুর্নীতি মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আদালতে শুধু আমি একা কেন? এ মামলাতে তো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসামি ছিলেন, তাহলে তিনি কোথায়?’
শুনানিতে খালেদার ভাষ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন। কাজেই তাকেও এখানে হাজির করা উচিত।
খালেদার জবাবে আদালত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মামলার আসামি নন। কাজেই তাকে এখানে হাজির করানোর কোনো প্রশ্ন ওঠে না।’
পরে এই মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। প্রথমে মওদুদ আহমদ আজ শুনানি না করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্ত আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে শুনানিতে অংশ নিতে নির্দেশ দেন।
শুনানি শেষে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আদালতে মাহমুদুল কবিরের আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে আদালতে হাজির করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আদালতের কার্যক্রম শেষে খালেদা জিয়াকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
ওই মামলায় বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এমএ