যুক্তফ্রন্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচনে রাজি
-2018-11-02-23-02-31.jpg)
যুক্তফ্রন্ট এবং বিকল্পধারা আজকের সংলাপে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচেনের জন্য তিনটি বিকল্প উপস্থাপন করেন। তার মধ্যে…
১. নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংবিধানের আওতায় যদি তা সম্ভব না হয়।
২. দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করেছেন। সব দলের অংশগ্রহনে একটা সম্মিলিত সরকার। সব দল মিলিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার। যে সরকারে সব দলের অংশগ্রহন থাকবে। যেটা ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। সেই অঙ্গিকারের আলোকে।
৩. অথবা তারা মনে করেন যে, যদি সরকার নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা সহ অবাধ এবং নির্বাচনকালীন সময়ে কোন রকম প্রশাসনিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে। সেই শর্তে তারা বর্তমান সরকারের অধীনেও নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত।
এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে সরকার যেকোনটা ইচ্ছে গ্রহন করতে পারে। তবে বিকল্প ধারা আজকের বৈঠকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে চায়। তবে নির্বাচনের জন্য একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে চায়। অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত হলে এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে যুক্তফ্রন্টের কোন আপত্তি নেই।
আজকের বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট আরেকটি মৌলিক বিষয় উল্লেখ করেছেন, যেটার সঙ্গে ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগ একমত হয়েছেন। সেটা হলো, বাংলাদেশে যারাই রাজনীতি করুক। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে রাজনীতি করবে। বাংলাদেশে যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছিল, যুদ্ধাপরাধী। তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তাদেরকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার ব্যাপারে যুক্তফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল একমত পোষণ করেছে।
আরেকেটি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বিরোধী দলের সভা সমাবেশ করার অধিকারের ব্যাপারে যুক্তফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যমতে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন,‘বিরোধী দল যেন অবাধে সভা সমাবেশ করতে পারে, তার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’