সংলাপের শুরুতেই যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বহুল আলোচিত সংলাপ। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ২১ জনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে আছেন ড. কামাল হোসেন।
গণভবনে এই আলোচনা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেবিলের ঠিক উল্টো দিকে বসেছিলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেন।
গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের যা উন্নয়ন করেছে, তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সরকারের ৯ বছর ১০ মাস হতে চলেছে। আমরা এ সময়ের মধ্যে দেশের কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছি। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণভবন জনগণের ভবন। আজ আপনারা এ অনুষ্ঠানে এসেছেন। এখানে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, ‘দিন বদল হচ্ছে। এটাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুফল যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। উন্নয়নের বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।’
প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন্যদিকে কামালের পাশে কাদেরের ঠিক উল্টোপাশে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুই পক্ষই বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে আলোচনায় যোগ দিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক চলছিল।
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসবেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে। আর ৫ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে সক্রিয় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন, সাবেক দুই সংসদ সদস্য এস এম আকরাম ও সুলতান মো. মনসুর আহমেদও গণভবনে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও রয়েছেন জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না।
অন্যদিকে সংলাপে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকছেন ২০ জন, এর মধ্যে আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলগুলোর নেতারাও রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, মো.আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান ও দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন। রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা শ ম রেজাউল করিমও।
১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াও সংলাপে উপস্থিত রয়েছেন।
এমএ