একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার এখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দেশজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও মামলা-হামলার পর এখন দুদক দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে আবারো মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদক বিরোধী দল নির্যাতনের জাঁতাকল হিসেবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
অবিলম্বে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, গত ১০ বছরে সরকারি দলীয় নেতাকর্মীরা কোটি টাকা লুট করে নিলেও, ব্যাংক লুট হয়ে গেলেও, দুদক চোখ বন্ধ করে বসে আছে।
‘খালেদা জামিন নিয়ে টালবাহানা’-চলছে এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন বার বার সরকার বাধাগ্রস্ত করছে। যে মিথ্যা মামলায় ইতিপূর্বে অনেককেই জামিন পেয়েছেন অথচ সেই মামলাগুলোতেই আদালতকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কুমিল্লার মিথ্যার নাশকতার মামলায় বার বার তারিখ পিছিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আদালতে ন্যয়বিচার পেলে কুমিল্লায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়া জামিন পেতেন। নিম্ন আদালত জামিনও দিচ্ছেন না আবার জামিন না মঞ্জুরও করছেন না। ফলে খালেদা জিয়ার উচ্চ আদালতের যাওয়ার পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই নিম্ন আদালত বেগম জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, আমিনুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।