ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


সংলাপে সুবাতাস রাজনীতিতে


৩০ অক্টোবর ২০১৮ ২০:৪৯

ফাইল ফটো

নির্বাচনের আগে সংলাপ নিয়ে নানা সংশয়ে ছিল রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটের আগে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংলাপে বসতে বার বার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসছেন। এর মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস বইবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের এই আহ্ববানে সাড়া দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানান। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্রটি ড. কামালের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

আমন্ত্রণপত্র পেয়ে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠি পেয়েছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে যাবে। আমি আশাবাদী একটি ইতিবাচক আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী সংলাপে সাড়া দেয়ার মাধ্যমে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হলো। গণতান্ত্রিক আলোচনা প্রক্রিয়াকে ধরে আমি বার বার উদ্যোগ নিয়েছি। আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা একটি বাস্তব অবস্থায় পৌঁছাব। আমি আশা করি এই আলোচনা উদ্যোগ ইতিবাচক হয়েছে এবং হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বৃহস্পতিবার গণভবনে সংলাপ শুরু হবে। আর মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠাবে ঐক্যফ্রন্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পক্ষের শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড. কামাল হোসেনের সংলাপে নেতৃত্ব দেয়ায় কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও গতিশীল ভূমিকা রাখবে।

ড. কামাল হোসেনের মতো সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, দুই পক্ষকে এক টেবিলে আনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কাছে ড. কামাল হোসেনের পাঠানো চিঠির ভাষাও ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। দুই পক্ষেরই শীর্ষ নেতার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সংলাপ অধিক কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। তবে এই সংলাপের সফলতা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের ছাড় দেয়ার মনোভাবের ওপর। সংলাপের ফলাফলের ওপর ভবিষ্যত দিনগুলোতে রাজনীতির গতিপথ নির্ভর করছে বলেও মনে করেন তারা।

গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, চিঠিটা বিএনপির কাছ থেকে গেলে একরকম। আর ঐক্যফ্রন্টের কাছ থেকে গেলে অন্যরকম। আর চিঠির ভাষাটা এমন যা একে উপেক্ষা করাটা কঠিন।'

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'দেশে সার্বিক পরিস্থিতি ও জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

আরকেএইচ