ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


"শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তার সারথি হতে চায়'


২২ নভেম্বর ২০২৩ ০১:২১

ছবি সংগৃহীত

মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে যার ছিল সরব পদাচারণা। সরকারি চাকুরীজীবি হয়েও চাকরি হারানোর মায়া ত্যাগ করে নেত্রীর পদার্পণকে মসৃন রাখতে যিনি সারাজীবন শ্রম দিয়ে গেছেন সে রকম এক মহান ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হোসেন বাবুল চৌধুরী। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ, তারপর যুবলীগ পেশাগত জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রাখতে করেছেন নানা সংগঠন। এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করেননি। নিজের জীবনের মায়া ত্যাগকারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বাবুল চৌধুরী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বারথি হিসেবে পটুয়াখালী -৩ (গলাচিপা - দশমিনা) আসন থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।

জানা যায়, মাহমুদ হোসেন বাবুল চৌধুরী গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা গ্রামের ধর্মপ্রাণ, শিক্ষিত, রাজনৈতিক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ব পুরুষ জমিদার তথা পিতা ও অন্যান্য ভাই সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। মাত্র ১৭ বছর বয়সে দুর্দান্ত সাহসীকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। বেশ কয়েকবার সন্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ন হয়ে বীরত্বের পরিচয় দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ৭৫ পরবর্তী সময় জাতিরজনকের হত্যার বিচারে আন্দোলনও করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে জয়েন করলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ থেকে কেউ টলাতে পারেনি।

চাকুরিরত থেকেই স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যোগ দিয়েছিলেন। ৯১ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন৷ ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আাসার সারাদেশে আওয়ামী লীগের যে আন্দোলন তাতেও তিনি যোগ দেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সফরকে ঐতিহাসিক ও সফল করার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা চাকরি হারানোর ঝুকিয়ে নিয়েও সম্পন্ন করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মাহমুদ হোসেন বাবুল চৌধুরী এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী দৃস্টি আকর্ষণ করতে চান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু শেখ হাসিনা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলনের সারথি ছিলাম। আমি আমার কর্মময় জীবনের প্রতিটি পদে একই আদর্শে অটল রয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আমিও তার সঙ্গী হতে চায়। আমার কর্মময় ও রাজনৈতিক জীবন বিবেচনায় নিয়ে তিনি আমার প্রতি সহানুভূতি দেখাবেন এটাই প্রত্যাশা করি।

বাবুল চৌধুরী বলেন, তারপরও প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করবেন সেটাতেই আমাদের আস্থা। আমি অতিতে এই জনপদের মানুষের সঙ্গে যেমন ভাবে ছিলাম আগামিতেও এমনভাবে অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্তই থাকবো।