ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


এরশাদের মহাসমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি


১৯ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৫৮

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

নির্বাচনের আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ ঘিরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শনিবার সকাল ১১টায় মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে।

জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের ব্যানারে অনুষ্ঠেয় এ মহাসমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সবরকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বড় ধরনের শোডাউন করার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির নেতারা নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে চান এদিন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন। বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দল এবং জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা দেবেন। মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচন, জোট গঠনসহ রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। পাশাপাশি এ মহাসমাবেশ থেকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরও নানা ধরনের দিকনির্দেশনা দেবেন।

শুক্রবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা মঞ্চ পরিদশন করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। এই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ জনতা যোগ দেবে। এই সমাবেশ হবে আগামী রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এই সমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশবাসীকে নতুন বার্তা দেবেন।

এই সময় জাপা মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন, জাতীয় পার্টি ঢাকা মহাপনগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, উত্তরের সভাপতি ফয়সল চিশতি, সোলেমান আলম শেঠ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল সহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে মহাসমাবেশ সফল করতে চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। দিনরাত কাজ করছেন নেতারা। ইতিমধ্যে পোস্টার-ফেস্টুনে সয়লাব হয়ে গেছে রাজধানীসহ সারা দেশ। দলীয় পোস্টারের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ ‘চলো চলো ঢাকা চলো, এরশাদের মহাসমাবেশ সফল করো’ শিরোনামে নানা রঙের পোস্টারও শোভা পাচ্ছে রাজধানীর অলিগলিতে।

মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক দলগুলো সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মহাসমাবেশ সফল করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং লাঙ্গলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। নির্বাচনের আগে পার্টি এবং জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে এবারের মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এখান থেকে জাতীয় পার্টির নতুন যাত্রা সূচিত হবে। এই মহাসমাবেশে শুধু ঢাকা শহর থেকে অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর কদমতলী থেকে অন্তত দশ হাজার নেতাকর্মী সমর্থক মহাসমাবেশে অংশ নেবেন।

এদিকে মহাসমাবেশ সফল করার জন্য শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টি সকল থানা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া গত সাত দিন ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা প্রচার মিছিল ও পথ সভা করা হয়েছে। মহাসমাবেশের সফলতা কামনা করে শুক্রবার সকালে শ্যামপুরে মিছিল করেছে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি। এছাড়া জাতীয় যুব সংহতি, ছাত্র সমাজ, মহিলা পার্টি, কৃষক পার্টি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি,শ্রমিক পার্টিও আলাদা আলাদা প্রস্তুতি সভা করেছে।

জাতীয় পার্টির পাশাপাশি মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরীক ইসলামী ফ্রন্টও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তারাও কয়েকদিন ধরে দফা দফায় বৈঠক করেছেন সমাবেশ সফল করার জন্য। এই ব্যাপারে ইসলামী ফ্রন্টে মহাসচিব এম মতিন বলেন, মহাসমাবেশ সফল করার জন্য আসাদের দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রগহণ করা হয়েছে। সারাদেশ থেকে আমাদের কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার নেতাকর্মী মহাসমাবেশে অংশ নেবে। ইতিমধ্যে অনেকেই ঢাকায় চলে এসেছে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী ও তার স্ত্রী রতœা আমিন হাওলাদের নির্বাচনী এলাকা বরিশালের বাগেরগঞ্জ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শনিবারের মহাসমাবেশে যোগ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।