মির্জা ফখরুলকে পাকিস্তানে চলে যেতে বললেন কাদের সিদ্দিকী

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, কিছুদিন আগে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন এর চেয়ে পাকিস্তান ভালো ছিলো। তাহলে কি আপনি আরও ত্রিশ লক্ষ মানুষকে মরতে বলেন? আরও পাঁচ-দশ লক্ষ মা বোনের সম্মান নষ্ট করতে বলেন? একজন দায়িত্বশীল দলের নেতা হয়ে বললেন, পাকিস্তান ভালো ছিলো। তাহলে আছেন কেন কালকেই পাকিস্তানে চলে যান।
তিনি বলেন, আমি মরতে পারি কিন্তু পাকিস্তান হতে দিবো না বাংলাদেশকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুরে যাদবপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিশাল জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
যাদবপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মোতলেব ডিলারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, সরকারী সা’দত কলেজের সাবেক ভিপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামীম আল মুনসুর আজাদ সিদ্দিকী, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম সরকার লাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান, সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী প্রমুখ।
এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো অসুবিধা নাই, তাহলে তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখছেন কেন? এমন আইনমন্ত্রী বেআইনি কথা বলতে পারেন না। খালেদা জিয়াকে একটা মামলায় জেল দেওয়া হয়েছে। তিনি বয়স্ক মানুষ, সরকার বিবেচনা করেছে তাকে জেল খানায় না রেখে তার বাড়িতে থাকাই ভালো, তাই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই ক্ষমতা যে কোনো সরকারেরই আছে। কিন্তু বাইরে থেকে তার রাজনীতি করার তার কোনো সুযোগ নাই। যদি তিনি রাজনীতি করতে চান তাহলে তাকে জেলে যেতে হবে, জেল থেকে কোর্টে যেতে হবে। যদি কোর্ট তাকে জামিন দেয় তাহলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নাই। তিনি ঠিক কথা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজনীতি করার কোনো চান্স নাই, তিনিও ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু একজন আইনমন্ত্রী এসব বেআইনি কথা বলেন কী ভাবে।
আইকে