ঢাকা শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপস নয়: কাদের


১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:২০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপস নয়। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেয়াই এবারের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার। আমাদের শপথ হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে বিষবৃক্ষ, ডালপালা বিস্তার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে আমরা সমূলে উৎপাটন করবো

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি, কিন্তু এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে একটি অশুভ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি। এবারকার বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হচ্ছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখবো।

ধর্মীয় সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তারা কি চেয়েছিল, তা জানতে। তাদের (ধর্মীয় সংগঠন) সঙ্গে বৈঠকটা করা হয়েছে, কারণ আমরা জানতে চাই, তারা কী চায়। আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এ প্রশ্নে আমরা কোনও আপোষ করবো না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি। তা নাহলে বৈঠক কেন?

তিনি আরও বলেন, এক দিকে ১৯৪৭ এর চেতনা, অন্য দিকে ’৭১ এর চেতনা, একদিকে সাম্প্রদায়িকতা, আরেক দিকে অসাম্প্রদায়িকতা, আজ আমাদের এ দু’টি ধারা চলছে, আমাদের আজকের শপথ হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যে বিষবৃক্ষ, ডালপালা বিস্তার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে আমরা সমূলে উৎপাটন করবো।

ভোর সাড়ে ৬টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সেই সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকে এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পরপরই জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।