ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


গ্রেপ্তার করানোর জন্যই তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র: নুর


১ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৩৪

ডাকসু ভবনে হামলার শিকার হয়ে এতদিন ঢামেকে ভর্তি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। ছাড়া পেয়ে হাসপাতাল ভবনের নিচে সাংবাদিকদের সামনে গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নুর। তিনি বলেন, ‘আমার ডাকসুর মেয়াদ আর তিন মাস বাকি আছে। ইতোমধ্যে আমার নামে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা দেয়া হয়েছে। আমাকে যাতে অ্যারেস্ট করা হয়, আমি যাতে জামিন না পাই, সেজন্য তড়িঘড়ি করে আমাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।’

এরপরই সেদিনের মারধরের ঘটনা ব্যাখ্যা করে নুর বলেন, ‘ঘটনার দিন লাইট বন্ধ করে আমাদের মারধর করে ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত ও সেক্রেটারি সাদ্দাম। তারা আমার ভাই আমিনুরকে পিস্তলের বাট দিয়ে মেরে তিন তলা থেকে ফেলে দেয়। অন্যদেরকেও এভাবে মেরেছে। সরকারের দুঃশাসন ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কথা বলায় আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমি হাঁটতে পারি না, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না। কাশি দিলে পাঁজরে ব্যথা পাই। মাথা ঘোরে, চোখে ঝাপসা দেখি। আমার চিকিৎসার ব্যাপারে সন্দেহ আছে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য আটবার হামলা করা হয়েছে। এগুলো করা হচ্ছে সরকারের ইশারায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেভাবে হামলা করেছে যদি এদের বিচার না হয়, তাহলে অন্য সরকার আসলে এভাবেই চলতে থাকবে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের যেন বিচার হয়। ছাত্রলীগকে নিয়ে যেভাবে সাফাই গাওয়া হচ্ছে। আমাকে মেরে ফেলার যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র।’

এসব ঘটনায় সরকারের হাত আছে বলে মনে করেন নুর। তিনি বলেন, ‘এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে কয়েকবার মারধরের ঘটনা হয়েছে। এগুলোর কোনো বিচার হয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার ওপর হামলা হচ্ছে। কথা না বলার জন্য নেতা ও গোয়েন্দারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে আমার ওপর প্রলোভন দেখিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে আমার ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। মামলা করতে গেলে (পুলিশ) মামলা নেয়নি। পরে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হলো।’ উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। তবে হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই হামলায় নুরসহ অন্তত ৩৪ জন আহত হন। হামলায় আহত ভিপি নুরসহ অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৮ জন ভর্তি হন।