ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


দক্ষিণ সিটির কাজে ‘হতাশ’ তাপস, মেয়র হয়ে নিশ্চিত করতে চান সেবা


২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৫২

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি থেকে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

নির্বাচন প্রসঙ্গে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দেয়া সাক্ষাতকারে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন করার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না, তবে আমি যখন রাজনীতিতে আসি ঢাকা ১০ আসনকে নিয়েই আমার সকল পরিকল্পনা ছিল। এই ঢাকা ১০ আসনকে সাজাতে গিয়ে বা তার উন্নয়ন করতে গিয়ে আমি এটা অনুভব করলাম যে আমরা অনেকাংশে বিভিন্ন সংস্থার কাছে আমাদের যেতে হয়। যেহেতু ঢাকা-১০ আসন দক্ষিণ সিটির আওতায় তাদের কাছে আমাদের মূল কাজগুলো থাকে, সেখানে অনেক সময়ে বলতে হয় আমিও হতাশ হয়েছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যেভাবে দেশটাকে সুন্দর রূপে নিতে যাচ্ছেন বা উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে যাচ্ছেন সেই অনুযায়ী এই সংস্থাগুলো কাজ করতে পারছে না। সেই হতাশা থেকে একটি চিন্তা যে আরেকটু বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ঢাকা নিয়ে গঠিত। এখানে প্রথমত কাজটি হবে সিটি করপোরেশন যে সেবাগুলো দিতে বাধ্য সে সেবাগুলো নিশ্চিত করা। আজকে এতদিন পরেও কিন্তু নূন্যতম সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারছে না। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের রাজনীতির মূল প্রেরণা, প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশ হবে। সে উন্নত বাংলাদেশের রাজধানী কেমন হওয়া উচিত সেটাই আমার পরিকল্পনা হবে। আল্লাহর রহমতে যদি আমি সুযোগ পাই, মেয়র পদে নির্বাচিত হই বা দল যদি মনে করে আমি যোগ্য, এবং আমাকে দিয়ে কাজটা করা যাবে দল যদি মনোনয়ন দেয় এবং জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে সেবা নিশ্চিত করা।

তাপস আরও যোগ করেন, আজকে ডেঙ্গুতে মানুষ কেন মারা যাবে? মশার এমন উপদ্রব কেন হবে? ডেঙ্গু কেন এপিডেমিক হিসেবে দেখা দেবে? এই জায়গাগুলো আগে নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত কাজ আমি মনে করি, ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ঢাকাকে তার অপরূপ রূপে সাজিয়ে তোলা। আমরা বাইরে গিয়ে দেখি পুরাতন শহরগুলোর আলাদা একটি রূপ আছে, একটা সৌন্দর্য আছে। কিন্তু আমাদের এখানে কেমন যেন অবজ্ঞা অবহেলা। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী ঢাকাশহরে অনেক উন্নতি করছেন। মেট্রোরেল হচ্ছে আধুনিকায়ন হচ্ছে। তার সঙ্গে সুন্দর পরিবেশ-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। সেসব নিশ্চিত করতে পারলেই বাইরে থেকে পর্যটক এলে আনন্দ পাবে, উপভোগ করবে। নতুন প্রজন্মেদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার পরিবেশ রাখা। তিনি বলেন, আসলে মানুষের চাহিদা বেশি না। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করলেই মানুষ খুশি হবে।