যে কোনো শর্তেই রাজি খালেদা

কারাগারে বসবাসরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তার স্বজনরা। স্বজনদের মধ্যে এসেছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম, ভাবি কানিজ ফাতেমা, ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, অনিক ইস্কান্দার, ও ভাগনে ডাক্তার মামুন।
সূত্রে জানা গেছে, এ সময় খালেদার সঙ্গে স্বজনদের বৈঠক হয়। খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে যে কোনো শর্তে মুক্তি চান। এমনকি নির্বাচন না করার শর্তেও তার মুক্তিতে রাজি আছেন খালেদা জিয়া।
কারাগারে শামীম ইস্কান্দার, সেলিমা ইসলামসহ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে খালেদা জিয়া প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা করেন। এই আলাপে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থান ছিল গৌণ, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী আলাপই ছিল যেন মুখ্য বিষয়।
কারা সূত্রে জানা গেছে, যদি খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বি. চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনদের নিয়ে ঐক্য করা হয় তাহলে ওই ঐক্যের আন্দোলনের ফসল অন্যদিকে চলে যেতে পারে। বেগম জিয়ার আশঙ্কা করছেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতৃবৃন্দের যে কোনো মুহূর্তে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় বিএনপি ভুগবে অস্তিত্ব সংকটে। এসব কারণে তার নিজের মুক্তির বিষয়টি খুবই জরুরি মনে করছেন খালেদা জিয়া।
এর আগেও বিএনপির পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশ চলে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে খালেদা জিয়াই সেই সমঝোতা থেকে সরে আসেন। কিন্তু এখন মত পরিবর্তন করছেন খালেদা জিয়া। যে কোনো শর্তে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চাইছেন তিনি। কারণ খালেদা জিয়া আশঙ্কা করছেন, বিএনপি ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলেও ঐক্যের একটি পর্যায়ে নেতারা পল্টি দিতে পারে। তখন তার মুক্তি ও মামলা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। তাই শামীম ইস্কান্দারসহ স্বজনদের তিনি অনুরোধ করেছেন তাঁর মুক্তির ব্যাপারে সচেষ্ট হতে।
খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষ করেই সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এমএ