ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


জনকল্যাণে চিন্তা করুন, যুবলীগকে প্রধানমন্ত্রী


২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪১

ছবি সংগৃহিত

চাঁদার হিসাব না করে জনকল্যাণের চিন্তা করতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোগ নয় ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সবাইকে রাজনীতি করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে তিনি এ কথা বলনে।

পদ প্রত্যাশীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নেতৃত্বে আসতে হলে ত্যাগের মনোভাব থাকতে হবে। যুবসমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে দুরে থাকতে হবে। একটা দেশকে যুবশক্তিই উন্নত করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। গত দশ বছরে দেশে স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করতে আওয়ামী লীগ সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যুবসমাজকে সঠিক পথে রাখতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করেছে সরকার। যুবসমাজকে গড়তে যুবলীগকে আদর্শ সংগঠন হিসাবে গড়ে তুলতেও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

যুবলীগের বহুল আলোচিত ৭ম কংগ্রেসে সারা দেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা ও ৮টি জেলার মর্যাদাসম্পন্ন বৈদেশিক শাখার প্রায় ৩ হাজার কাউন্সিলর ও ২৫ হাজার ডেলিগেট এবং ৮ হাজার অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন।

সম্প্রতি, সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অব্যাহত দেয়া হয়েছে আগেই। ফলে সংগঠনটির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন অনুমিতই ছিল। যুবলীগ নেতাকর্মীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত কংগ্রেসে বিদায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ কয়েকজন বির্তকিত নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গণভবন থেকে ‘সবুজ সংকেত’ না মেলায় তাদের দাওয়াতপত্র দেয়া হয়নি।

কংগ্রেসকে সামনে রেখে আগেই নেতাদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কোনো নেতা এবারের কংগ্রেসে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। এর আগে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কংগ্রেস হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর সপ্তম কংগ্রেস হচ্ছে।