ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কৃষকলীগের দুর্দিনের পরীক্ষিত কর্মী আসাদুজ্জামান বিপ্লব


২ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৫

ফাইল ফটো

আসছে আগমী ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভ্যানু নির্ধারিত হয়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীরা ব্যস্ততম সময় পার করছেন। সবার মতোই ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকলীগের দুর্দিনের পরীক্ষিত নেতা আসাদুজ্জামান বিপ্লব।

যদিও তিনি নেতা বলতে নারাজ, নিজেকে শেখ হাসিনার একজন কর্মী বলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের যোগাযোগ ও পরিবহণ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন। কৃষকলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ছিলেন একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক। এছাড়াও ছিলেন সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি।

১৯৭৯ সালের ২ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করা আসাদুজ্জামান বিপ্লব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দেশের তরে প্রাণ দানের উদ্দেশ্যেই বিপ্লবের পরিবারের বাবা, চাচা, বড় ভাইসহ মোট ৬ জন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তার রাজনীতির হাতেখড়ি বলতে গেলে পরিবার থেকেই। তার পরিবারের সকলেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বিপ্লবের প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। ছিলেন ময়মনসিংহ টি.টি. কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস, আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক, সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এবং ছিলেন বাঙলা কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক।

এক সময় ভাবেন কাজ করতে হবে দেশ গড়ার মূল কারিগর বাংলার কৃষকদের জন্য। যেই ভাবনা সেই কাজ, যোগ দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ কৃষকলীগে।

নিজেকে কৃষকের সন্তান ভেবে গর্ববোধ করা আসাদুজ্জামান বিপ্লব দলীয় পদপদবী থেকে দায়িত্ববোধকে গুরোত্ব দেন বেশি। পছন্দ করেন সৃজনশীল রাজনীতিতে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন।

২০০১ সালের পর যখন বিএনপি-জামাত জোট তথা স্বাধীনতা বিরোধী সরকার ক্ষমতায় তখন নিজ অঞ্চল ভালুকায় বারবার প্রতিবাদী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।
২০০২ সালে জোট সরকার পরিচালিত অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় হয়েছেন করাবন্দী। এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেন তিনি। ঐ সরকারকে হঠানোর জন্য মাঠে সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নেন সামনের সারি থেকে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময় বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচির প্রতিবাদে সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করেছেন।

সুবক্তা বিপ্লব ভালবাসেন নতুন নতুন স্লোগান তৈরি করতে। বিগত সংসদ নির্বাচন গুলোতে তার তৈরী একটি স্লোগান খুব জনপ্রিয় হয়েছে। স্লোগানটি এরকম, ‘নৌকা যার আমরা তার, নৌকা যার আমি তার।’

আগামী দিনে আসাদুজ্জামান বিপ্লব কৃষকলীগকে আরো সংগঠিত ও সুসংহত করতে সর্বদা প্রস্তুত। তার চিন্তা কৃষকদের আরো সংগঠিত করে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌড়াত্য হ্রাস করা। বর্তমান সরকারকে কৃষিবান্ধব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একজন কৃষিবিদের চেয়েও অধিক কৃষি-জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি মনে করেন তিনি।

বিপ্লবের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং কৃষক দরদি নেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা।

আসাদুজ্জামান বিপ্লবের মতো এরকম কৃষকবন্ধু নেতাকে সংগঠনের শীর্ষ পদে দেখতে চান তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।