ভূমিকম্প হয় যে তিন কারণে
শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। অপরদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে এর তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫।
মূলত, ভূমিকম্প হলো ভূমির কম্পন। যখন ভূ-অভ্যন্তরে কোনো শিলা অন্য শিলার ওপর উঠে আসে বা স্থান পরিবর্তন করে, তখন পৃথিবীর পৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে। মূলত পৃথিবীর অভ্যন্তরে হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন বা আন্দোলনের ফলে এই কম্পন ঘটে।
ভূ-অভ্যন্তরের স্থিত গ্যাস কখনও কখনও ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে সেই স্থানে ফাঁপা তৈরি হয় এবং পৃথিবীর উপরের তল চাপের ভারসাম্য ঠিক রাখতে চেষ্টা করে। এই সময় ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়, যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত।
সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্প ঘটে—
১. ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন
২. আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা
৩. শিলাচ্যুতির ঘটনা
ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ড হয়। তবে এই কয়েক সেকেন্ডেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে পারে। ভূমিকম্পের মাত্রা মাপার জন্য রিখটার স্কেল ব্যবহার করা হয়। এই স্কেল এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত।
মাত্রা ৫-এর বেশি হলে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। রিখটার স্কেলে মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিপদের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, মাত্রা ৫–৫.৯৯ হলে তা মাঝারি, ৬–৬.৯৯ হলে তীব্র, ৭–৭.৯৯ হলে ভয়াবহ, এবং ৮-এর উপরে হলে অত্যন্ত ভয়াবহ হিসেবে ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, এক ডিগ্রি মাত্রার বৃদ্ধি হলে কম্পনের শক্তি ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
