ঢাকা রবিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৫, ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩২


টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, আপত্তি খাত সংশ্লিষ্টদের


১৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৯

সংগৃহীত

ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শেষে গত মাসে নতুন টেলিকম পলিসি 'টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং পলিসি-২০২৫' অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরই এই নীতিমালার আলোকে খসড়া গাইড লাইন তৈরির কাজ শুরু হয়। যা এখন শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসেই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। 

 

এরইমধ্যে এই খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন টেলিকম পলিসি এবং খসড়া গাইড লাইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। লিখিত প্রতিবেদনের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সামনে বিক্ষোভও করেছে উদ্যোক্তারা।

 

তাদের অভিযোগ, খসড়া গাইড লাইনে গ্রাহক পর্যায়ে সেবার খরচ বৃদ্ধি এবং বৈষম্য করা হয়েছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই খসড়া গাইড লাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।

 

তিনি বলেন, গাইডলাইন পলিসির ফ্রেমওয়ার্কের মধ্য থেকেই হবে। এখন এর বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। পলিসির মধ্যে যতটুকু সমন্বয় করা যায় তা করা হচ্ছে। সবার কথাই বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

খসড়া গাইড লাইন অনুযায়ী, স্থানীয় ক্ষুদ্র আইএসপিদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে অর্থ জমা দিতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি অপারেটের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি লাইসেন্স ফি গুণতে হবে।

 

এতে গ্রাহকের ফিক্সড ইন্টারনেটের খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি)।

 

প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, নতুন গাইড লাইনে অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের কৌশল আটা হয়েছে। তৃণমূল গ্রাহককে যার মাশুল গুণতে হবে। 

 

এদিকে ১৫ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের শর্ত জুড়ে দেয়ায় বাংলালিংকসহ দুই মোবাইল অপারেটর আপত্তি তুলেছে। 

 

বাংলালিংকের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান বলেন, শর্ত চাপিয়ে দেয়া বিনিয়োগের জন্য উদ্বেগজনক। এটি বিদেশী বিয়োগকারীরাদের শঙ্কার মধ্যে ফেলবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে দেশে এর প্রভাব পড়বে। 

 

অপরদিকে মতামত নেয়া হলেও খসড়া গাইড লাইনে তার প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিযোগ করছেন এনটিটিএন, আইজিডব্লিউ এবং আইসিক্সের মতো স্থানীয় বিনিয়োগাকারীরা।