‘রাজাকারের সন্তান বলে শ্লোগান দিতে লজ্জা করে না’

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গতকাল রবিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’।
তাদের এমন বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ শে মার্চ ছাত্র শিক্ষকদেরকে গণহত্যা করেছে রাজাকাররা, সেই রাজাকারের পক্ষে রাজাকারের সন্তান বলে শ্লোগান দিতে লজ্জা করে না?’
বিষয়টি ঘিরে আরো পোস্ট করেন পলক। তিনি লিখেন, ‘তুমি কে? আমি কে? বাঙালি, বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ স্লোগান লিখে পোস্ট দেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন এ সংক্রান্ত একটি পোস্টারও।
এরপর রাত সোয়া ১টা ফেসবুকে আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, তোরা যারা রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ গভীর রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় দাবি করেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ‘তুমি নই, আমি নই রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন। অর্থাৎ আমি কিংবা তুমি কেউই রাজাকার নই।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সম্প্রতি নিজের চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে প্রসঙ্গক্রমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে আসে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।
সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে ওইদিন রাতেই বিক্ষোভে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালসহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।