ঢাকা রবিবার, ১৭ই আগস্ট ২০২৫, ৩রা ভাদ্র ১৪৩২


মিয়ানমারের বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে হস্তান্তর করল বিজিবি


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৫

সংগৃহিত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন নাগরিককে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ অং ক্যও মোয়েসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তাদের গ্রহণ করতে মিয়ানমারের বিজিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকালে উখিয়ার ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাটে পৌঁছায়। এরপর তারা বিজিবির রামু সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে। দুই দেশের এ প্রতিনিধিরা সকাল সাড়ে ১০টায় হস্তান্তর বিষয়ে বৈঠকে মিলিত হন।

বিজিবি জানায়, ওই ৩৩০ জনকে নিতে মিয়ানমারের একটি জাহাজ গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের জলসীমায় আসে। ইনানী জেটিঘাট থেকে তাদের কর্ণফুলী জাহাজে করে মিয়ানমারের ওই জাহাজে পৌঁছানো হবে।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ১২ দিন ধরে কখনো প্রচণ্ড গোলাগুলি, আবার কখনো থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

রাখাইনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি শুরু হলে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তারা এতদিন বিজিবি হেফাজতে ছিলেন।

আশ্রিত এই ৩৩০ জনের মধ্যে বিজিপির ৩০২ জন, বিজিপি সদস্যের পরিবারের চারজন, সেনাবাহিনীর দুজন, ইমিগ্রেশন বিভাগের ১৮ জন এবং বেসামরিক নাগরিক চারজন রয়েছেন।