ঢাকা শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মংলা ও পায়রা বন্দরে


২০ মে ২০২০ ১৬:০৭

ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেতই দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে আম্পান বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ০৬ টায় (২০ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।