ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মাদক জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০২

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশে মাদক নির্মূলে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাদকের তৎপরতা রোধে তিন ভাগে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মাদক এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার দুপুরে পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ সদর দফতর সংলগ্ন এলিট হলে আয়োজিত মাদক ধ্বংস ও মাদকবিরোধী প্রচারণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক একটি ভয়ংকর নেশা। যিনি একবার এ নেশায় আসক্ত হবেন, তার বের হতে দীর্ঘ সময় লাগে। মাদক মানে সর্বনাশা এক বিষয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেটি নিয়ে কাজ করছি আমরা।

তিনি বলেন, সুন্দরবন একসময় জলদস্যু, বনদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। কোনো পর্যটক, স্থানীয় জেলে সুন্দরবনে যেতে পারতেন না। কিন্তু র‌্যাবের প্রচেষ্টায় এখন সুন্দরবন হয়েছে ডাকাত ও জলদস্যুমুক্ত। সেখানকার মানুষ এখন শান্তিতে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সর্বনাশা ইয়াবা প্রবেশের প্রধান রুট কক্সবাজার। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তা কমে এসেছে। ইয়াবার উৎস মূলেই কাজ করছে দেশের প্রশাসন। এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, মো. হাবিবুর রহমান এমপি, মো. ফরিদুল হক খান এমপি, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফ, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বিভিন্ন সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বই বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তাদের মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান র‌্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে র‌্যাবের অভিযানে জব্দ হওয়া ৩৭০ লিটার কোকেন ধ্বংস করা হয়েছে। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জব্দ হওয়া কোকেইনের চালান এটি। এসব মাদকের বাজার মূল্য আনুমানিক ৯ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ সময় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পক্ষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান ও চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে সহকারী ব্যবস্থাপক (এস্টেট) রায়হান উদ্দিন মাদক ধ্বংস কার্যক্রম তদারকি করেন।