ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বিমসটেক সন্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু উপেক্ষিত


১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:১৭

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা জোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিলেও বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কিছুই নেই।

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) কাঠমুন্ডুতে দুদিনের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ১৮ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো। এ সম্মেলনে অংশ নেয় বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ।

এ সম্মেলনের ঘোষণায় বিমসটেক নেতারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ, সমর্থন ও অর্থায়নের জন্য জোটভুক্ত দেশগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়ে একমত পোষন করেন।

তবে সেই ঘোষণায় রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন অভিযানের’ মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

বিমসটেকের চতুর্থ সম্মেলনে নেতারা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ সেতু হিসেবে বিমসটেকের বিশেষ অবস্থানকে গতিশীল করে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার ধীর প্রতিশ্রুতি দেন।

একই সঙ্গে ঘোষণায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও গভীরতর করার বিষয়ে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিশীল থাকার বিষয়ে উল্লেখিত হয়।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জোটে পাকিস্তান সদস্য না হওয়ায় অনেকের কাছেই সার্কের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত। বিমসটেককে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে কার্যকরী মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ঘোষণায় উল্লেখ রয়েছে।

বিমসটেকের সদস্যের মধ্যে নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডও রয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার ফলে ইসলামাবাদে ২০১৬ সালের সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকে এই জোট বেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানি, দারিদ্র বিমোচন এবং কৃষি বিষয়ক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ও জনস্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতাসহ ১৪টি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নয়নে প্রাধান্য রয়েছে এই জোটে।

সন্ত্রাস প্রতিরোধ প্রাধান্য পাওয়ায় সাম্প্রতিককালে সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানরা নিয়মিত বৈঠক করছেন। আগামী বছর মার্চে এর পরবর্তী বৈঠক বসবে থাইল্যান্ডে।

বিশ্বে বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিমসটেকে আলোচনা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তবে তার এ ইঙ্গিতের কোন কার্যকারিতা হয়নি।

রোহিঙ্গা সংকট বছরের পর বছর ঝুলে থাকলে এঅঞ্চলে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করবে বলে মনে করলেও বিমসটেকের ঘোষণায় বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

সম্মেলন শেষে শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টও সম্মেলনে অংশ নেন।

বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি অলি শর্মা সমাপনী বক্তব্য দিয়ে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

আইএমটি