ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের পৃথক আসন বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের রুল

যাত্রীবাহী ট্রেনে নারীদের জন্য পৃথক কামরা বরাদ্দের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপদ ভ্রমণে পৃথক আসন বরাদ্দের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আজ বুধবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ও রেলওয়ে পরিদর্শককে এই রুলের জবাব দিতে হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী মো. আজমল হোসেন খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি ট্রেনে নারীদের নিরাপদে ভ্রমণের জন্য পৃথক কামরা বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। আইনজীবী মো. আজমল হোসেন খোকন এ রিট দায়ের করেন।
আজমল হোসেন খোকন বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের আইন অনুযায়ী নারীদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। তার পরও তাদের জন্য আলাদা কোনো কামরা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। আমি শুধু রেলের সেই নিয়মটি বাস্তবায়ন চাই। কারণ ট্রেনে ভ্রমণ অত্যন্ত আরামদায়ক। কিন্তু কোনো নারী যদি একা টেনে যাতায়াত করতে চায়, তাহলে প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে রেল গাড়িতে ওঠা যেমন কষ্টকর, তেমনি শতশত পুরুষের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে ট্রেনের কামরার ভেতরে আসন পর্যন্ত গিয়ে সিটে বসাটাও টাফ হয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এর আগেও ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর নারীদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দ চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। তাতেও কোনো কাজ না হওয়ায় রিট দায়ের করি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে আইন, ১৮৯০ এর ৬৪ ধারা অনু্যায়ী নারীদের জন্য একটি কামরা বরাদ্দ রাখার বিধান রয়েছে। এখন পর্যন্ত আইনটি বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হলো।’
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন এই আইনজীবী। লিগ্যাল নোটিশের পরেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টের প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।