ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রস্তুতিতে ‘মারাত্মক ঘাটতি’ : হাইকোর্ট


৯ মার্চ ২০২০ ২৩:২৯

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রস্তুতিতে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে মাস্ক, স্যানিটাইজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট, কালোবাজারি করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা বলেছে উচ্চ আদালত।

আজ সোমবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দেওয়া প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

প্রতিবেদনটি দেখে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারক কে এম কামরুল কাদের বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের খবরে দেখলাম মাস্কের জন্য মানুষ দোকানে দোকানে লাইন দিচ্ছেন। একটা মাস্ক কিনতে যদি ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাগে সেটা দুঃখজনক।’

এই ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিচারক কে এম কামরুল কাদের বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু যথেষ্ট নয়। সরকার যেসব প্রস্তুতি নিয়েছে, সেখানে আমরা পিছিয়ে আছি। প্রিপারেশনে সিরিয়াস ঘাটতি আছে। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ব্যাপক আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ নিয়ে অবহেলা, ঘাটতি থাকার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এক-দেড়মাস হয়ে গেছে এখনও স্ক্যানার কেনার প্রক্রিয়ায় আছেন। কেনার জন্য বাজারে মাস্ক, স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে। যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে মোকাবিলার প্রস্তুতি তো থাকতে হবে। কারণ হলো এর কোনো প্রতিষেধক নাই। আমরা গরিব দেশ। কিন্তু আমাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাটাই জরুরি। কিন্তু আশা দেখছি না।’

উচ্চদামে মাস্ক বিক্রি প্রসঙ্গে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক এফ আর এম নাজমুল আহাসান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এই সুযোগে এটা নিয়ে বাজারে কোনো ধরনের ব্যবসা হয় কিনা পেঁয়াজের মতো, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট দিয়ে তদারকি করতে হবে। কেউ যাতে বেশি দাম না নিতে পারে, মজুদ না করতে পারে। ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়ালে আমরা কেউ নিরাপদ না। যে ব্যবসায়ী মাস্কের ব্যবসা করছে সে ব্যবসায়ীও নিরাপদ না।'

এর আগে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেও তিনজন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এ নিয়ে এখন জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

নতুনসময়/আইকে