ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


তান্ত্রিক গুরুর সঙ্গে যৌন মিলনে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী


১৫ জুন ২০১৯ ২২:৩৭

ভারতে কিশোর ছেলের চোখের সামনে ৩২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন তারই স্বামী। ওই নারী তার স্বামীর গুরুর সঙ্গে যৌন মিলনে রাজি না হওয়ায় তাকে এভাবে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। তবে ওই তান্ত্রিক গুরু ছিলেন একজন অপরাধী। এর আগে তার কাছ থেকে হিরোইন উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।

শুক্রবার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

জানা যায়, উত্তের প্রদেশের আলীগড় শহরের কাছে এক গ্রামে পরিবার নিয়ে বাসবাস করেন মনপল। সম্প্রতি এক তান্ত্রিকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। এরপর সে তার স্ত্রীকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। কিন্তু তার স্ত্রী এতে রাজি হননি।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই নারীকে নদীতে ফেলে হত্যা করে তার স্বামী মনপল। আর এ ঘটনার একমাত্র সাক্ষী তার কিশোর ছেলে। এ সময় সে মাকে হত্যা না করার জন্য কান্নাকাটি করেছিলো। কিন্তু এতে মন টলেনি পাষান মনপল ও তার গুরুর। উল্টো সে তার ছেলেকে এই বলে শাসায়, এই হত্যার কথা কাউকে বললে মায়ের মতো তাকেও হত্যা করা হবে।

পরে এ হত্যার ঘটনায় শুক্রবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন ওই নারীর ভাই রাজেশ কুমার। তিনি পুলিশকে বলেন, তাকে যে হত্যা করা হতে পারে এ কথা তার বোন আগেই টের পেয়েছিলেন। তিনি ঘটনার দু দিন আগে তার ভাইকে ঘটনাটি জানান। তিনি তাকে রক্ষা করারও আঁকুতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজেশ বোনের বাড়িতে যাওয়ার আগেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।

বৃহস্পতিবার মনতোষ তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির পাশের নদীতে যায়। এরপর তাকে নদীতে ফেলে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর তান্ত্রিককে সঙ্গে নিয়ে সাঁতরে নদীর ওই পার চলে যায় এবং পার্শবর্তী বাদুন জেলায় আশ্রয় নেন।

কিন্তু পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পায়নি তারা। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। নদী থেকে নিহতের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই তান্ত্রিক সাধুর নাম সান্তাস দুর্গা দাস। তিনি একজন চিহ্ণিত অপরাধী। গত বছর তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ হিরোইন উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।


নতুনসময়/এনএইচ