‘স্ত্রী পরকীয়া করতো, তাই বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেললাম স্যার’

পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। থানায় হাজির হয়ে ঠান্ডা মাথায় জানালেন স্ত্রীকে খুনের কথা। স্বীকারোক্তি শোনার পর যুবকের বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
হুগলির আরামবাগ থানার সালেপুরের দাসপাড়া এলাকার ঘটনা এটি। অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ দাস। বছর ১৫ আগে ঋতু দাসকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। গত শনিবার রাতে অভিজিৎ স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে আরামবাগ থানায় হাজির হন অভিজিৎ। পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, তিনি স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন। যুবকের ওই স্বীকারোক্তি শুনে চমকে যায় পুলিশ। তারা অভিজিতের বাড়িতে যায়। দেখা যায়, সত্যিই বিছানায় এক বধূর নিথর দেহ পড়ে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিজিৎ দাসের বিয়ে হয় প্রায় ১৫ বছর আগে। তাদের দুই সন্তান। অভিজিতের মায়ের দাবি, বৌমা পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। তা নিয়ে ছেলের সঙ্গে অশান্তি হতো।’
অন্যদিকে, মৃতের বাবা গুরুপদ নন্দী বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। মেয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে থানা থেকে ফোন করেছিল। পুলিশ জানায় , আমার মেয়েকে নাকি জামাই খুন করেছে। জামাই এর আগেও একবার বিয়ে করেছিল।’
অভিজিৎ একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তবে তখনই তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন কিনা, স্পষ্ট নয়। মৃতের বড় ছেলেও জানিয়েছেন, মা-বাবার ঝগড়া হয়েছিল রাতে। তবে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর কিছু জানে না।