ঢাকা মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


পাকিস্তানে কি গণঅভ্যুত্থান ঘটতে চলেছে?


২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৫

ফাইল ফটো

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীদের বিক্ষোভ ক্রমেই সহিংস আকার ধারণ করেছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশটির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।  

 

পিটিআই নেতাদের দাবি, তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তবে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিতে চাচ্ছে। পিটিআই মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের কর্মীরা নিরস্ত্র এবং আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সহিংসতা কখনও আমাদের পথ ছিল না। 

 

তারা আরও দাবি করেন, ইসলামাবাদজুড়ে অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং স্কুল-কলেজও সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

 

পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগর হাইওয়েতে বিক্ষোভের সময় একটি দ্রুতগামী গাড়ি রেঞ্জার্স বাহিনীর চার সদস্যকে চাপা দিলে তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, এই ঘটনা বিক্ষোভকারীদের ইচ্ছাকৃত হামলা। এছাড়াও সংঘর্ষে দু’জন পুলিশ সদস্য নিহত ও বহু পুলিশ এবং সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, পিটিআই দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তাদের বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে।  

 

এর আগে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নেতৃত্বে হাজার হাজার পিটিআই কর্মী বিশাল গাড়িবহর নিয়ে ইসলামাবাদের ডি চকের উদ্দেশে রওনা হন। মঙ্গলবার সকালে তারা শ্রীনগর হাইওয়ের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে সংঘর্ষ চরমে ওঠে।  

 

ডি চকে পৌঁছানো পিটিআই কর্মীদের লক্ষ্য হলেও, ওই এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে বিপুল সংখ্যক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৭০০টির বেশি শিপিং কন্টেনার ব্যবহার করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদ কার্যত ‘কন্টেইনার সিটি’তে পরিণত হয়েছে।  

 

পুলিশ ও পিটিআই কর্মীদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে তাদের আঘাত করেছে। অন্যদিকে, পিটিআই কর্মীরা বলছে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করছে।  

 

জেলে থাকা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তার স্ত্রী বুশরা বিবি দলীয় সমর্থকদের প্রতি চূড়ান্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইমরান খান আমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত আমরা এই যাত্রা থামাব না। আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকব।

 

এদিকে পাকিস্তান সরকারের প্রতি মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি সংবিধান মেনে চলারও তাগিদ দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।