ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


চীনে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে ৪৬


৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৫৫

চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।

স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পের ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, শক্তিশালী এই ভূমিকম্প সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরের প্রায় ৪৩ কিলোমিটার (২৬ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ১০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত আঘাত হানে।

চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কস সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল চেংদু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের লুডিং পার্বত্য এলাকায়।

বিবিসি, রয়টার্স, এনডিটিভিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে সিচুয়ানের প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর পাশাপাশি দূরবর্তী প্রদেশগুলোও কেঁপে ওঠে। কম্পনের ফলে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস দেখা গেছে। ধসের কারণে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সংলগ্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, অন্তত একটি এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, কম্পনের সময় অনেকে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যে, তারা রীতিমতো কাঁদতে শুরু করেছিল। কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ শুরু করে। ভীতিকর এক পরিস্থিতির অবতারণা হয়। কম্পনটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, লোকজনের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকাটাই কঠিন ছিল। কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের ৫০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকা বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রাদেশিক গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।

সিচুয়ান ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীদের সহায়তার জন্য এক হাজারেরও বেশি সেনা পাঠানো হয়েছে দুর্যোগকবলিত এলাকায়। দেশটির কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তার জন্য তাঁবু, কম্বল এবং অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মানুষের জীবন বাঁচানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ২০০৮ সালে সিচুয়ানের ওয়েনচুয়ান কাউন্টিতে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত জুনেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দফায় ভূমিকম্পে অন্তত চারজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হন।