ঢাকা রবিবার, ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ১০ই ভাদ্র ১৪৩২


ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ


১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৩০

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ উপলক্ষে বর্তমানে পুরোদমে চলছে প্রচারণা। এরই মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন সাবেক মডেল অ্যামি ডরিস। যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “১৯৯৭ সালে ট্রাম্প আমাকে জোর করে চুম্বন করেন। ঘটনাটা ঘটেছিল নিউ ইয়র্কে ইউএস ওপেন টেনিস চ্যাম্পিয়ানশিপ চলার সময় ভিআইপি বক্সে।”

ডরিস বলেছেন, “ট্রাম্প আমায় চেপে ধরেন। তারপর জোর করে তার জিহ্বা আমার মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। ট্রাম্প এত জোরে চেপে ধরেছিলেন যে আমি ছাড়াতে পারছিলাম না। তার হাত আমার স্তন, পশ্চাৎদেশ সহ শরীরের সব জায়গা স্পর্শ করছিল। আমি বারবার তাকে থামতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি থামেননি।”

ডরিসের দাবি, “আমি সে সময় অনেককেই এই ঘটনার কথা বলেছিলাম। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।”
যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন অ্যামি ডরিসের বয়স ছিল ২৪ বছর। আর ট্রাম্পের ৫১। তিনি তখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।

ডরিস এই সাক্ষাৎকার গার্ডিয়ানকে দিয়েছিলেন এক বছর আগে। তার অনুরোধ ছিল, তখন তা যেন ছাপা না হয়। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প এই কাজ করার পরও ছাড়া পেয়ে গেছেন দেখে আমার খুব খারাপ লাগে।

ট্রাম্পের আইনজীবী গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ডরিস যা বলছেন তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরকম ঘটনা ঘটলে তার তো সাক্ষী থাকবে। আগমী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও একগুচ্ছ অভিযোগ এসেছিল। আমেরিকার কলামনিস্ট ই ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন, ট্রাম্প তাকে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ট্রায়াল রুমে ধর্ষণ করেছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের একটা ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তার খ্যাতি এতটাই বেশি যে, চাইলে যেকোনও মেয়েকে ধরে তার যৌনাঙ্গে হাত দিতে পারেন। ট্রাম্প প্রথমে এটাকে ‘লকার রুম ব্যান্টার’ বলে উড়িয়ে দিয়েও পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

তবে প্রশ্ন হল, ডরিস এতদিন পরে কেন এই অভিযোগ করলেন? তার বক্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা কারো সঙ্গে ঘটলে সে তখন আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমিও হয়েছিলাম। এখন আমার দুই মেয়ের কাছে রোল মডেল হতে চাই। তাই বলছি।” সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ডয়েচে ভেলে