বাবার সাথে কথা বলেই ৯তলা থেকে কলেজছাত্রের ঝাঁপ
বাবাকে ভিডিও কল করে হোস্টেলের ৯তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুজন সামন্ত নামের এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুজনকে যাদবপুর থানার পুলিশ এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ বছরের সুজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সুজন বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা জানিয়েছে, আসানসোলের বাসিন্দা সুজন গরফার প্রতাপগড়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ হঠাৎই ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারাই প্রথম দেখতে পান হোস্টেলের এক দিকে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সুজন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই আসানসোলে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখনই তার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, মানসিক অবসাদে ভুগছিল সুজন। সন্ধ্যায় বাবাকে ভিডিও কল করে কয়েক মিনিট কথাও বলেন সুজন। তখনই বাবাকে আত্মহত্যা করার কথা বলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কথোপকথনের সময়েই সুজনের বাবা আঁচ করেছিলেন যে, ছেলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু ফোন রেখেই যে সে সুজন ওরকম কিছু করবেন, তা ভাবতে পারেননি তিনি। এর আগেও দু’বার সুজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কেন সুজন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুজন উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করে যাদবপুরে ভর্তি হন। তিনি পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন কি না তা-ও দেখছে পুলিশ।
নতুনসময়/আইকে
