ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


অন্যের কণ্ঠস্বর না শুনলে গণতন্ত্র হেরে যাবে: প্রণব মুখার্জি


২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০৮

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেছেন, নিজের ছাড়া অন্য কারো কণ্ঠস্বর যদি আমরা শুনতে না চাই, তাহলে বুঝতে হবে গণতন্ত্র হেরে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ সব স্বাধীনতা থাকা অবশ্য প্রয়োজন। গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া আয়োজিত রাজেন্দ্র মাথুর স্মারক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর :আনন্দবাজার পত্রিকা ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

মুক্ত চিন্তা ও নির্ভীক সাংবাদিকতার বিষয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বহুত্ববাদের প্রসঙ্গ টেনে প্রণব মুখার্জি বলেন, ‘নিজের ছাড়া অন্য কারো কণ্ঠস্বর যদি আমরা শুনতে না চাই, তাহলে বুঝতে হবে গণতন্ত্র হেরে যাচ্ছে।’

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মেলামেশার স্বাধীনতাসহ সর্বপ্রকার স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। তার কথায়, চোখ বুজলে আমি যে ভারতকে দেখতে পাই, তাতে ১৩০ কোটি মানুষ, সাতটি বড়ো ধর্মের মানুষ, ১২ লাখ ৬৯ হাজার ২১৯ বর্গমাইলের ভূখণ্ড, ১২২টি ভাষা এবং তার ১৬০০ কথ্যরূপ একই সংবিধানের অধীনে। সেই একক পরিচয়ই হলো ভারত। তাকে ধ্বংস করা যায় না। আর ধ্বংস করলে ভারত বলে আর কিছু থাকবে না।

তিনি বলেন, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গণতান্ত্রিক দেশ। গণমাধ্যমে প্রকৃত চিত্র উঠে আসা উচিত। গণমাধ্যম যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তবে বহুত্ববাদের মতামতকে অবশ্যই তুলে ধরা উচিত, যা আমাদের গণতন্ত্রে প্রাণ এনে দেবে এবং আমাদের ভারতীয় বলে পরিচিত করবে। সততা ও ন্যায্যতার সঙ্গে দাঁড়ানো এবং প্রশ্ন করা হলো সংবাদমাধ্যমের মৌলিক কাজ।

সংবাদমাধ্যমের বর্তমান চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রণব মুখার্জি বলেন, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে একথা না বললে অন্যায় হবে যে সংবাদমাধ্যমের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কোনো না কোনো গোষ্ঠীর বাছাই করা, একতরফা, প্রসঙ্গবহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গোষ্ঠীস্বার্থ তুলে ধরা সাংবাদিকতার চরিত্র হতে পারে না। শুধু সমালোচনার জন্য সংবাদমাধ্যম সমালোচনা করতে পারে না আবার গণমাধ্যম সরকার বা কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র হতে পারে না।

নতুনসময়/আইকে