ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ক্রমশই আরও জমাট বাঁধছে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়ার প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলন


১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩২

অশান্তি থামার কোনও লক্ষণ নেই। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজধানীর আন্দোলন ক্রমশই আরও জমাট বাঁধছে। জামিয়া মিলিয়ার প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন জেএনইউ-এর ছাত্ররা। এদিন সকালেই সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে জামিয়ার দুই ছাত্রর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। অশান্তি এড়াতে এদিনও মথুরাপুর অঞ্চলে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখছে দিল্লির ট্রাফিক পুলিশ।

বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দোলনরত জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা রাতারাতি পাশে পেয়ে গিয়েছেন সারা দেশের অন্যান্য বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। রাতের অন্ধকারে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি জুলুমের ঘটনার নিন্দায় সরব গোটা দেশের ছাত্রসমাজ। আইআইটি বোম্বে, জেএনইউ, যাদবপুর, পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মধ্যরাতেই পথে নেমেছেন পাশে থাকার বার্তা নিয়ে।

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রোক্টর ওয়াসিম আহমেদ খানের অভিযোগ, রবিবার রাতে দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ছাত্রদের নির্বিচারে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আটক করা হয় ১০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রীকে। ছাত্রছাত্রীদের মুক্তির দাবিতে সরব বহু নাগরিক দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করেন। ঘটনার আঁচ পড়ে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানেও ছাত্র-পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আলিগড়ে ৩০ জন ছাত্র ও ১০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার রাতে পুলিশ বনাম ছাত্র খণ্ডযুদ্ধ বাধে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়েও। পটনায় গুজব রুখতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার আটক হওয়া ছাত্রদের সোমবার ভোরে ছেড়ে দেওয়া হলেও সকালে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এফআইআর করেছে পুলিশ। রাতের অন্ধকারে যখন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল অশান্তি চলছে, তখন দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের। মধ্যরাতেই রাস্তায় নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্ররা একজোট হয়ে মিছিল করেছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও। জামিয়ার ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। তবে সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, অতর্কিতে পুলিশি আক্রমণে আতঙ্কিত বহু ছাত্র ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন।