তুরস্কে বাস দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ নিহত ১৭
 
                                তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ভ্যান প্রদেশে অবৈধ অভিবাসীবাহী একটি বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি এবং আফগানিস্তানি রয়েছেন বলে দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সাবাহ বলছে, অতিরিক্ত যাত্রীবাহী ওই মিনিবাসটি ভ্যান শহরের সঙ্গে ওজালপ জেলার সংযোগকারী একটি সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বাসটি পাহাড়ি সড়ক থেকে গভীর খাদে পড়ে যায়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এ দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ভ্যানের গভর্নর মেহমেত এমিন বিলমেজ দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সিকে (এএ) বলেন, বাসটি পাহাড়ি সড়কে চলার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ও অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
ইরান সীমান্তের কাছের মুরাদিয়ে জেলা থেকে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে বাসটি যাত্রা শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
গভর্নর মেহমেত এমিন বিলমেজ বলেন, হতাহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। হতাহতরা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশি নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই গভর্নর। বাসের চালক গোকান সারমাও দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ইরান-তুরস্ক সীমান্তের ভ্যান প্রদেশ হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায় বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিনি বলেন, সাধারণত ওই মিনিবাসে ১৭ থেকে ১৮ জনের আসনের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বাসটিতে ৬৭ জন যাত্রীকে তোলা হয়েছিল।
বুধবার ভ্যান প্রদেশের বাসকালে জেলায় অভিযান চালিয়ে ২৮৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রেফতার করে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের নাগরিক।
এর আগে, গত ২৬ জুন তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এডির্নে শহরে একটি মিনিবাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে পাকিস্তান এবং ভারতের অন্তত ১০ নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরো কমপক্ষে ৩০ জন।
নতুনসময়/এমএন

 
                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        -2024-09-02-09-55-40.jpg) 
                                                         
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            