ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর নতুন ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন


৪ আগস্ট ২০১৯ ১৯:১০

ছবি সংগৃহিত

কলকাতার সাবেক ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান মওলানা আজাদ কলেজ)-এর ঐতিহ্যবাহী সরকারি বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকক্ষে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নতুন একটি আবক্ষ ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে এই ভাস্কর্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সিভিল ডিফেন্স দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এবং কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বেকার হোস্টেলে প্রথম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল যথাযথভাবে ফুটে না ওঠায় নতুন একটি ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তার উদ্যোগে এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এখানে পুরনো ভাস্কর্যকে সরিয়ে নতুন ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে ঢাকার শিল্পী লিটন পাল রনির নির্মিত বঙ্গবন্ধুর নতুন একটি ভাস্কর্য ঢাকা থেকে এনে শনিবার তা স্থাপন করা করা হয়।

এই ভাস্কর্য উন্মোচন করে মন্ত্রী বলেন, ‘বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন একাট গর্বের বিষয়।’
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর নতুন ভাস্কর্য স্থাপনে সহায়তার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

ঐতিহ্যবাহী বেকার হোস্টেলটির অবস্থান কলকাতার শিয়ালদহের কাছে ৮ স্মিথ লেনে। ১৯১০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন। তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ১৯৪২ সালে এই ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সেদিনকার এই ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ। ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এই ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেছিলেন।